দিল্লির ‘কিলা’ ছেড়ে তিনি মেহবুব-এ-ইলাহির দরগাহতে এসে পৌঁছেছেন - এ খবর পেয়েই তড়িঘড়ি বাদশাহর সামনে হাজির হয়েছিলেন হজরত খাজা শাহ গুলাম হাসান।
সেটাই ছিল তৈমুর বংশের উত্তরসূরি – সম্রাট বাবর, শাহজাহানদের বংশধর - বাহাদুর শাহ জাফরের শেষ বারের মতো দিল্লির লাল কেল্লা ছেড়ে বেরিয়ে আসা।
দিনটা ছিল ১৮৫৭ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর।
তার ‘নানা’-র বর্ণনা করা ওই ঘটনা নিজের মায়ের মুখে অনেকবার শুনেছেন খাজা হাসান নিতার ‘নানা’ বা মায়ের বাবা খাজা শাহ গুলাম হাসান চিশতী ছিলেন শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের আধ্যাত্মিক পথ-প্রদর্শক।
আর যে মেহবুব-এ-ইলাহির দরগাহর কথা লিখে গেছেন খাজা হাসান নিজামি, সেটি খাজা নিজামুদ্দিন চিশতীর দরগাহ।
হাসান নিজামি লিখেছেন, "তার চেহারায় তখন হতাশা আর উদ্বেগের ছাপ স্পষ্ট। মাত্র কয়েকজন হিজরা এবং মোট-বাহক তার সিংহাসন বয়ে নিয়ে আসার জন্য সঙ্গে এসেছিলেন। তার পোশাক ধুলোমলিন। তার সফেদ দাড়িতেও ময়লা লেগে ছিল।জামি।