গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ: বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

 

গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও টঙ্গীতে বন্ধ হয়ে যাওয়া দুটি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। ঈদের আগে বকেয়া বেতনের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই তারা সড়কে অবস্থান নেন, ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

সূত্র জানায়, গাজীপুর মহানগরের কড্ডা, কালিয়াকৈর ও টঙ্গী এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভের জেরে বেশ কয়েকটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে বাসন থানার কড্ডা এলাকায় ১০টি, কালিয়াকৈরের মৌচাক শিল্পাঞ্চলে ১৫টি এবং টঙ্গীতে আরও কয়েকটি পোশাক কারখানা বন্ধ রাখা হয়।

কেন ঘটল এই বিক্ষোভ?

মৌচাক এলাকায় গ্লোবোস গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় সম্প্রতি শ্রমিকদের সঙ্গে লাইনম্যানের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অভিযোগ রয়েছে, আশরাফুল ইসলাম নামে এক শ্রমিককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন কারখানার লাইনম্যান। এর জেরে কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং পরে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

অন্যদিকে, টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় বিএইচআইএস অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। শ্রমিকদের দাবি, ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধের কথা থাকলেও মালিকপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত না জানিয়ে গোপনে কারখানা ছেড়ে চলে যান। মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে দেখেন, কারখানার ফটকে ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ’ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিক্ষোভ ও প্রশাসনের পদক্ষেপ

দুই এলাকায় শ্রমিকরা মহাসড়কে নেমে আসায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে শিল্পপুলিশ, থানা পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দীর্ঘ আলোচনার পর বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের দাবি ও নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে এবং শ্রমিকদের নিয়মিত কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এই সংস্করণটি মৌলিক থাকবে কারণ এটি মূল তথ্য ধরে রাখলেও ভাষার গঠন, বর্ণনার ধরণ ও বিন্যাস পরিবর্তন করা হয়েছে। আপনি চাইলে আরও তথ্য যোগ করে বা কিছু তথ্য সরিয়ে এটিকে আরও কাস্টমাইজ করতে পারেন।



Previous Post Next Post